রাতের ম্যাচে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ড্যানিশদের হয়ে গোল দুটি করেন কাস্পার ডলবার্গ ও আন্দ্রেস স্কোভ ওলসেন।
প্রতিপক্ষের মাঠে অবশ্য শুরু থেকেই আধিপত্য করে খেলছিল ফ্রান্স। ৫৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ১৭টি শট নেয় এমবাপ্পেরা। যার মধ্যে ৭টি লক্ষ্যে থাকলেও ড্যানিশ গোলকিপার কাস্পার স্মাইকেলের নৈপুণ্যে বল জালে জড়ানো হয়নি ফরাসিদের। বিপরীতে ১৬ শটের ৭টি লক্ষ্যে রেখে দুবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। তবে এমবাপ্পের নেওয়া শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন স্মাইকেল। ছয় মিনিট পর অ্যান্তোনি গ্রিজম্যানকেও হতাশ করেন স্মাইকেল। ফ্রান্সের রক্ষণদেয়ালে ডেনমার্ক প্রথম উল্লেখযোগ্য হানা দেয় ম্যাচের ২০ মিনিটে। তবে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের পাসে ওলসেনের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়ে ফরাসিদের গোল হজম থেকে রক্ষা করেন গোলবারের অতন্দ্রপ্রহরী আরিওলা। কিন্তু ৩৩ মিনিটে ড্যানিশদের আক্রমণ আর প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি আরিওলার পক্ষে।
বামদিক থেকে মিকেল ডামসগার্ডের পাসে ডি-বক্সে ছুটে গিয়ে স্লাইডে বল জালে পাঠান কাসপের ডলবার্গ। সমতায় ফেরার বদলে ছয় মিনিট পর ফের আরও একটি গোল হজম করে বসে ফ্রান্স। কর্নার থেকে আসা বল অরলিয়েঁ চুয়ামেনিরা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ডি বক্সে থাকা ওলসেন সুযোগ পেয়ে যান। জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। তবে গ্রিজম্যানের নেওয়া নিচু শট ফিরিয়ে দিয়ে ফের ফরাসিদের হতাশ করেন স্মাইকেল। ৬৭ মিনিটে সুযোগ পান এমবাপ্পেও। গ্রিজম্যানের বাড়ানো পাস নিজের দখলে নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণদেয়াল টপকে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন এ স্ট্রাইকার। কিন্তু এবারও স্মাইকেলকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি।
ম্যাচে ফেরার জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একাধিকবার চেষ্টা চালান গ্রিজম্যান-এমবাপ্পেরা। ম্যাচের ৮১ মিনিটে গ্রিজম্যানের বদলি হিসেবে র্যান্দাল কোলো মুয়ানিকে নামিয়েও ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেননি ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বেনজেমাবিহীন ফ্রান্সকে।